স্তন ভাল রাখার জন্যে যেই খাবারগুলো অবশ্যই খাবেন..!

সয়াঃ গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব নারী নিয়মিত ডেইডজেইন এবং জেনিস্টেইন নামের দুটি পুষ্টি উপাদান গ্রহণ করছেন প্রচুর পরিমাণে তাদের মধ্যে ফাইব্রোসিস্টিক ব্রেস্ট হওয়ার ঘটনা কম ঘটছে। ওই দুটি পুষ্টি উপাদান মূলত সয়াবিনে পাওয়া যায়। গবেষণায় আরো দেখা গেছে, সয়া মেনোপোজের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, অস্টিওপোরোসিস এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতেও সহায়ক ভুমিকা পালন করে। আর বেঁচে যাওয়া ৯ হাজার ৫১৪ জন স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীকে পর্যবেক্ষণ করে পরিচালিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে, সয়া খেলে পুনঃপুন টিউমার সৃষ্টির হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
গম বীজঃ গম বীজের নির্যাস ঋতুস্রাবের আগের নানা লক্ষণ উপশমে কাজ করে। এটি স্তনকে সতেজ রাখতে খুবই কার্যকর ভুমিকা পালন করে। এছাড়া ক্লান্তি, প্রদাহ, হৃদপিণ্ডের ধুকপুকানি, মাথা ব্যাথা, নিদ্রাহীনতা, অতিরিক্ত ক্ষুধার অনুভুতি এবং খাদ্য আসক্তি থেকে মুক্তিতেও গুরুত্বপুর্ণ ভুমিকা পালন করে। Foods and Diet for Healthy Breast.
ব্লুবেরিঃ ব্লুবেরি এবং এর নির্যাস স্তনের টিউমার কোষগুলোর বৃদ্ধি ঠেকাতে কার্যকর ভুমিকা পালন করে। প্রতিদিন অন্তত একবার ৬ আউন্স করে ব্লুবেরি খান। এটি ক্যান্সার প্রতিরোধী ভুমিকা পালনেও বেশ কার্যকর। Natural Diet for Healthy Breast.
লাউঃ বেশিরভাগ সবজিরই কমলা বা লাল আভা সৃষ্টিতে কাজ করে বিটা-ক্যারোটিন। ফাইব্রোসিস্টিক স্তনের পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া স্বরুপ যে অতিরিক্ত মাংসপিণ্ডের সৃষ্টি হয় তার ঝুঁকি হ্রাসে কাজ করে এই বিটা ক্যারোটিন। গবেষণায় দেখা গেছে, বিটা ক্যারোটিন সমৃদ্ধ লাউ জাতীয় সবজি খেলে স্তনের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। কুমড়া এবং মিষ্টি আলুও স্তনের স্বাস্থ্য ভালো রাখার ক্ষেত্রে একই ভুমিকা পালন করে।
তুলশিপাতার রস মেশানো চাঃ অতিরিক্ত ঘামানোর ফলে প্রাণ নাশের ঝুঁকি সৃষ্টি হয় না সত্য। কিন্তু এটি খুবই বিরক্তিকর। বিশেষ করে স্তনের মতো অস্বস্তিকর জায়গায় অতিরিক্ত ঘাম বের হওয়া খুব একটা ভালো লাগার মতো বিষয় না। তুলশিপাতার রস মেশানো চা উচ্চ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান সমৃদ্ধ। যারা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ঘামেন তাদের জন্য অনেক সময়ই প্রাকৃতিক দাওয়াই হিসেবে এটি খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। সুত্র: ইন্টারনেট।
No comments:
Post a Comment